প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ কি, কিভাবে শিখবো ? Programming in Bangla

আপনার আশেপাশের মানুষ, যারা প্রোগ্রামিং করে, তাদের দেখে হয়তো আপনার মনে হতেই পারে যে, তারা কোন আশ্চর্য সুপার পাওয়ারের অধিকারী। প্রচণ্ড আগ্রহ আর পরিশ্রমের মন মানসিকতা থাকলে সেই সুপার পাওয়ারের অধিকারী হওয়াটা সম্ভব। শুরুতে ঠিক আমারও একই ধারণা ছিল। ভাবতাম প্রোগ্রামিং কতই না কঠিন!!

প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ কি, কিভাবে শিখবো
প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ কি, কিভাবে শিখবো  | Programming in Bangla
তবে অবাক হবার কিছু নেই আর ব্যাপারগুলো এতটাও জটিল নয় যতটা আমরা ভাবি। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করা নিয়ে বেসিক আইডিয়াটি তৈরী হয়ে যাবে এবং একজন প্রোগ্রামার হবার যাত্রাটিও সহজ হয়ে যাবে।

ইন্টারনেটে খুঁজলে আপনি অসংখ্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের নাম পাবেন, যেগুলোর কাজ আসলে ঘুরে ফিরে সেই একটাই। সেইটা হচ্ছে কম্পিউটারকে কোন একটি নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া।  হতে পারে সেই কাজটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা, ওয়েবসাইট তৈরি করা অথবা আরো অন্যান্য কাজ। আজকে প্রোগ্রামিং কি, প্রোগ্রামিং কিভাবে শিখবো, প্রোগ্রামিং এর বেসিক ধারণাসহ আপনাদেরকে আরো অনেক কিছু সম্পর্কে জানাবো।

প্রোগ্রামিং এর বেসিক ধারণা

ধরা যাক, আপনি আপনার কম্পিউটারে লগইন করবেন। এখানে, দুইটি ব্যাপার ঘটতে পারে। আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার পাসওয়ার্ডটি লিখে থাকেন তাহলে আপনি লগইন করতে পারবেন।

আর যদি আপনি ভুল পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকেন, তাহলে কম্পিউটার আপনাকে আবার চেষ্টা করতে বলবে। এই জিনিসটিকে যদি আমরা কোডিং দিয়ে প্রকাশ করতে চাইতাম, তাহলে আমাদের if statement নামের একটি লজিকের প্রয়োজন পড়তো। প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজটির উপর নির্ভর করে এই লজিকটি দেখতে অনেকটা এরকম হতো।

if(user_input == password){ unlock();} else {tryagainlater();}

আপনি যদি এর আগে কখনোই কোড না করে থাকেন তাহলে এই লেখাগুলোদেখে অন্যরকম লাগাটা স্বাভাবিক। কিন্তু একটু ধৈর্য নিয়ে বোঝার চেষ্টা করলেই এই কোডগুলো তখন আপনার জন্য পড়তে পারা কোন ব্যাপারই না। এখানে আমরা প্রথমেই একটি কী ওয়ার্ড If দেখতে পাচ্ছি, যার সাথে ব্র্যাকেটের ভেতরে একটি শর্ত বা কন্ডিশন রয়েছে।

এই কন্ডিশনটির কাজ হচ্ছে টেস্ট করা যে আপনার টাইপ করা ইনপুটটি, পাসওয়ার্ডের সাথে মিলেছে কিনা। এখানে input আর password কে বলা হয় ভ্যারিয়েবেল বা বাংলায় বললে চলক।

ধরা যাক আপনার পাসওয়ার্ডটি হচ্ছে 1234, আমরা এখন কম্পিউটারকে নির্দেশ দিচ্ছি আপনার টাইপ করা পাসওয়ার্ডটিকে ইনপুট নিতে, এরপর সেটা আসল পাসওয়ার্ড 1234 এর সাথে মিলিয়ে বা তুলনা করে টেস্ট করে দেখতে।

যেটাকে কোডিংয়ে আমরা প্রকাশ করছি input == password আপনি যদি সঠিক পাসওয়ার্ডটি টাইপ করেন, তাহলে এই কন্ডিসনটি TRUE হবে। সেক্ষেত্রে কম্পিউটারকে আমরা বলছি আনলক করতে। আর যদি টেস্টিং এর রেজাল্ট FALSE হয় তাহলে else এর ভেতরে থাকা কোডটি রান হবে, যেটি আপনাকে আবার ট্রাই করতে বলবে।

জানি শুরুর দিকে এই জিনিসগুলো আপনার কাছে একটু কঠিন মনে হতে পারে।  কিন্তু আসলে ব্যাপার গুলো এতটা কঠিন না। আপনি যদি একটু ধৈর্য্য নিয়ে জিনিস গুলো জানার চেষ্টা করেন তাহলে দেখবেন আপনি খুব সহজেই এগুলো বুঝতে পারবেন।

কোডিংয়ে আরও অনেক কনসেপ্ট আছে। কিন্তু এই ধরণের ইফ স্টেটমেন্ট প্রায় সকল ওয়েবসাইট এবং অ্যাপেই ব্যবহার করা হয়। আমরা এখানে খুবই ছোট্ট একটি প্রোগ্রাম লিখেছি। আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, আমরা যেভাবে পরীক্ষার খাতায় অনেকগুলো ছোট ছোট বাক্য দিয়ে একটি বড় রচনা লিখি। একইরকম ভাবে প্রোগ্রামিংটাও এরকমই।

প্রোগ্রামিং এ কিভাবে ভালো করা যায়?

এখন প্রোগ্রামিংয়ে ভালো করার ব্যাপারটিও আছে। আসলে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শেখাটাই যথেষ্ট নয়। আপনাকে করতে হবে নিয়মিত প্র্যাকটিস এবং তৈরী করতে হবে রিয়েল লাইফ প্রজেক্ট। এছাড়া যারা ভালো প্রোগ্রামার তাদের কোড থেকে শেখার চেষ্টা করতে হবে। প্রোগ্রামিং হচ্ছে এমন একটা জিনিস যেটা যদি আপনি নিয়মিত প্র্যাকটিস না করেন তাহলে এই বিষয়ে কখনোই দক্ষ হতে পারবেন না।

প্রোগ্রামিং বিষয়টা অনেকটা নির্ভর করে অভিজ্ঞতার উপর। আপনি যত বেশি প্রজেক্ট করবেন আপনার এই অভিজ্ঞতা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।  আপনি যদি শুধুমাত্র প্রোগ্রামিং শিখে যান কিন্তু কোনো প্রজেক্ট না করেন,  তাহলে আপনাকে কখনই ভাল প্রোগ্রামার বলা সম্ভব না।

আমি নিজে যখন প্রজেক্ট করতাম, প্রবলেম সল্ভিং করতাম, তখন আমি বেশ কনফিউসড ছিলাম। কিন্তু এখন ব্যাপারগুলো অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে।

প্রোগ্রামিং শিখতে কতদিন সময় লাগতে পারে?

এখন আপনার মাথায় হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে যে প্রোগ্রামিং শিখতে কত সময় লাগতে পারে? আমিও যখন প্রোগ্রামিং শুরু করেছিলাম তখন আমার মাথায় ঠিক একই প্রশ্নটা আসছিল।  প্রোগ্রামিং শিখতে কত সময় লাগতে পারে এই বিষয়টা সম্পূর্ণ নির্ভর করে যে আপনি প্রোগ্রামিং শিখে কি করতে চান।  অনেকে হয়তো প্রোগ্রামিং শিখে অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে চায়। আবার অনেকে হয়ত ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে চায়। এখন আমার মতে এই দুইটি বিষয়ে যে কোন একটি বিষয়ে যদি আপনি দক্ষ হতে চান তাহলে আপনাকে এক বছরের মতো সময় দিতে হবে। প্রতিদিন যদি আপনি অল্প অল্প করে সময় দিয়ে এক বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারেন। তাহলে অবশ্যই আপনি একজন ভালো প্রোগ্রামার হতে পারবেন।

প্রতিদিন প্রোগ্রামিং এর পিছনে কত সময় দেওয়া দরকার?

আচ্ছা আমরা তো বুঝলাম যে প্রোগ্রামিংয়ে ভালো হতে হলে আমাদেরকে মোটামুটি এক বছরের মতো সময় দিতে হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে আমরা প্রতিদিন প্রোগ্রামিং এর পিছনে কত সময় দিব ? এখানে তেমন ধরাবাঁধা কোনো সময় নেই। আপনি প্রতিদিন আপনার কাজ শেষে যতটুকু সময় দিতে পারবেন  ততটুকু সময় দিলেই চলবে।

যারা জব করেঃ-

ধরে নিচ্ছি আপনি জব করেন  আর আপনি চাচ্ছেন আপনার জবের পাশাপাশি প্রোগ্রামিং শিখতে। এখন আপনার  কাজের সময় ব্যতীত আপনি যতটুকু সময় প্রোগ্রামিং এর পেছনে দিতে পারবেন,  ঠিক ততটুকু সময় দিলেই চলবে।  হতে পারে আপনি 2 ঘণ্টা সময় দিতে পারলেন আবার হইতে পারে তিন ঘন্টা।  আবার হয়ত ছুটির দিনে একটু বেশি সময় দিতে পারবেন।  এইভাবে প্রতিদিন একটু একটু করে সময় দিলেই  আপনি একদিন একজন ভালো প্রোগ্রামার হতে পারবেন।

যারা শিক্ষার্থীঃ-

এখন ধরে নিচ্ছে আপনি একজন শিক্ষার্থী এবং আপনি চাচ্ছেন আপনার পড়াশোনার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং শিখে নিতে। এখানেও একই কথা বলতে চাই, আপনি আপনার প্রতিদিনের পড়াশোনা শেষ করে পড়াশোনার সময় ব্যতীত যে সময়টি পাবেন সেই সময়টি প্রোগ্রামিং এর পেছনে দিলেই চলবে। এক্ষেত্রে পড়াশোনাকে বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে প্রোগ্রামিং কে পেশন হিসেবে নিতে হবে।

শেষে আবারও একই কথা বলতে চাই, আপনি যদি প্রতিদিন একটু একটু করে সময় প্রোগ্রামিং এর পিছনের দিতে পারেন।  তাহলেই দেখবেন আপনি একদিন একজন ভালো প্রোগ্রামার হতে পারবেন। এমনটা নয় যে আপনাকে প্রতিদিন অনেকটা সময় দিতে হচ্ছে।

কেন প্রোগ্রামিং শিখবেন?

আপনি কেন প্রোগ্রামিং শিখবেন তাইনা??  প্রোগ্রামিং শেখার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সেই গুলো বর্ণনা করা হলোঃ-

১। প্রোগ্রামারদের ভ্যালু

দেখুন বর্তমান সময় আপনার চারিপাশে আপনি যা কিছুই দেখছেন ইলেকট্রনিক্স, যা কিছুই দেখছেন কম্পিউটারে ভিতরে যত সফটওয়্যার দেখছেন, সব কিছুর পিছনে প্রোগ্রামার। একজন প্রোগ্রামার এর ভ্যালু আসলে বলে বোঝানোর মতন নয়। এখন কথা হচ্ছে আমি কি ধরনের প্রোগ্রামার হলাম আমার দক্ষতা কতটুকু আমি কি পরিমান প্রবলেম সলভ করতে পারি এগুলো অনেক কিছুর উপরে নির্ভর করে একজন প্রোগ্রামার এর ভ্যালু।তাই আপনি যদি প্রোগ্রামিংয়ে ভালো দক্ষ হয়ে ওঠেন তাহলে আপনার অনেক বৃদ্ধি পাবে।

২। ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ

তাছাড়া আপনি যদি একজন প্রোগ্রামার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ থাকছে।  আপনি যদি কোনো সরকারি বা বেসরকারি জব করেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে একটা ধরাবাঁধা সময়ের মধ্যে কাজ করতে হয়।  কিন্তু  আপনি যদি একজন ভালো প্রোগ্রামার হতে পারেন, তাহলে আপনি ঘরে বসে কোনো ধরাবাধা সময় ছাড়াই কাজ করে  আয় করতে পারবেন।

বর্তমানে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ঘরে বসেই প্রোগ্রামাররা আয় করছে। তাই আপনি যদি প্রোগ্রামার হতে চান এই সুবিধাটিও আপনি পাবেন। যেখানে থাকবে না কোনো ধরাবাধা সময়, থাকবে না কোন বস। আর এটি একটি বিশাল সুবিধা।

৩। প্রোগ্রামারদের অধিক স্যালারি

তাছাড়াও যে কোন জায়গায় প্রোগ্রামারদের কে অনেক স্যালারী দেওয়া হয়।  প্রোগ্রামারদের বেতন অনেক বেশি হয়। আর আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে প্রোগ্রামিংএ জব আপনার জন্য একটি বিশাল সুযোগ হইতে পারে।  শুধু শিক্ষার্থী নয় বরং সবার জন্য সুযোগ রয়েছে। আপনি চাইলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। যেখানে প্রোগ্রামারদের কে অনেক বেশি টাকা দেওয়া হয় কাজ করে নেওয়ার জন্য। এবং যেকোন বয়সের মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। তাই আপনি যদি চান প্রোগ্রামিং ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে তাহলে আপনি অনায়াসেই নিতে পারেন।

কোথায় থেকে প্রোগ্রামিং শিখবেন?

বর্তমানে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় চাইলে যেকোনো কিছু শিখে ফেলা যায়। ইন্টারনেটে সবকিছু এত সহজলভ্য যে যে কেউ চাইলেই যেকোনো কিছু শিখতে পারে। আপনি যদি প্রোগ্রামিং শিখতে চান ইন্টারনেটে অনেক রিসোর্স পেয়ে যাবেন। আর এখন আমাদের সবার কাছেই ইউটিউব আছে। চাইলেই আমরা ইউটিউব থেকে যে কোন একটি ফ্রি কোর্স করে প্রোগ্রামিং শিখতে পারি। আসলে শেখার ইচ্ছা থাকলে কোন কিছু শিখা ব্যাপার না। তাই প্রোগ্রামিং শিখতে চাইলে ইউটিউবে যেয়ে একটু রিসার্চ করলেই সব কিছু পেয়ে যাবেন।

তাছাড়া আপনি যদি চান আরো ভালোভাবে আরও সহজভাবে শিখতে তাহলে ভালো কারো কোর্স কিনে নিতে পারেন। আবার চাইলে কোন ইনস্টিটিউটেও যোগ দিতে পারেন। তবে এত কিছু দরকার হবে বলে আমার মনে হয় না। ইউটিউব থেকেই সবকিছু শিখে ফেলা যায়। আমি নিজে ইউটিউব থেকে প্রোগ্রামিং শিখেছি।

প্রোগ্রামিং শেখার জন্য কোন কোন স্কিল আগে থেকে থাকতে হবে?

প্রোগ্রামিং শিখতে হলে আপনাকে বেশ কিছু জিনিস আগে থেকে পারতে হবে।  এই জিনিসগুলো যদি আপনি আগে থেকে না পারেন তাহলে প্রোগ্রামিং শিখতে এসে আপনাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হবে। এখন যে জিনিসগুলো আগে থেকে পারতে হবে সেই জিনিস গুলো সম্পর্কে বলিঃ

১। বেসিক কম্পিউটার চালানো জানতে হবে

প্রোগ্রামিং শিখতে চাইলে বেসিক কম্পিউটারটা চালাতে পারা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রোগ্রামিং হচ্ছে কম্পিউটারের ভাষা বা কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ। আর যেহেতু আপনি কম্পিউটারের ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে চান, তাই আপনাকে অবশ্যই বেসিক কম্পিউটার চালানো জানতে হবে। বেসিক কম্পিউটার চালানোর মধ্যে যেকোন ফাইলকে কপি করা, কাট করা, পেস্ট করা, কোন একটা ফোল্ডার ক্রিয়েট করা আর সেই ফোল্ডারের মধ্যে বিভিন্ন ফাইল রাখা। এই জিনিসগুলো জানা থাকা দরকার।

২।  সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং ইন্সটল করতে পারা

আপনাকে অবশ্যই সফটওয়্যার ডাউনলোড করে, সেটা ইন্সটল করতে পারতে হবে।এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা যখন প্রোগ্রামিং করব তখন আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জিনিস ডাউনলোড করে ইন্সটল করার প্রয়োজন হতে পারে। যেমনঃ কোড এডিটর, তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ ইন্সটল করার প্রয়োজন হতে পারে। তখন আপনি যদি ডাউনলোড করে ইন্সটল করার এই জিনিসগুলো আপনার জানা না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এই বেসিক জিনিসটি আপনার আগেই জেনে রাখা উচিত।

৩। ভালো রিসার্চ করতে পারা

যখন আপনি প্রোগ্রামিং করবেন তখন আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়বেন। অনেক সময় দেখবেন কোড কাজ করছে না। তখন আপনাকে ভালোমতো রিচার্জ করতে পারতে হবে। আপনি যদি ভালোমতো রিচার্জ করতে না পারেন তাহলে ওই কোডে আপনার কোথায় সমস্যা হচ্ছে এই জিনিসটি আপনি খুঁজে বের করতে পারবেন না। এবং এটি আপনার এগিয়ে চলার পথে বাধা সৃষ্টি করবে।

তাছাড়া আপনি যদি ভালোমতো রিচার্জ করতে পারেন তাহলে আপনি প্রোগ্রামিং সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাই যেকোনো বিষয় ইন্টারনেটে সার্চ করার বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি এ বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন অবশ্যই এটি আপনাকে পরবর্তীতে এগিয়ে যেতে অনেক সাহায্য করবে।

উপরের এই তিনটি বিষয়ে যদি আপনি ভালোমতো পারেন, তাহলে অবশ্যই আপনি প্রোগ্রামিং শুরু করে দিতে পারেন। আর যারা উপরের বিষয়গুলোর মধ্যে কিছুই জানে না তাদেরকে আমি বলব, আগে আপনারা এই জিনিসগুলো ভালোমতো শিখে নেন তা না হলে প্রোগ্রামিং শেখাটা আপনার জন্য অনেক কষ্টসাধ্য হবে।

প্রোগ্রামিং শিখে কত টাকা আয় করা সম্ভব?

আসলে প্রোগ্রামিংয়ে আয় করার কোন মাত্রা নেই। আপনি যত বেশি কাজ করবেন আপনি ঠিক ততো বেশি ইনকাম করতে পারবেন। যেমন আপনি যদি প্রোগ্রামিং শিখে ওয়েব ডেভেলপার হন তাহলে একটি সাইট কোডিং করে তৈরি করে দেওয়ার জন্য আপনি 1000 ডলার পর্যন্ত চার্জ করতে পারেন বা অনেক সময় তারও বেশি। তাই বুঝতেই পারছেন, প্রোগ্রামিং শিখে কত টাকা আয় করা সম্ভব। ভালো প্রোগ্রামার হতে পারলে আপনার ইনকাম নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

তবে শুরুর দিকে ইনকামের কথা চিন্তা করলে হবে না। আপনাকে শেখার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আপনি  আপনি ঠিক কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন এটা কি আপনি মোটিভেশন হিসেবে নিতে পারেন। যা আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে অনেক সাহায্য করবে।

প্রোগ্রামিং এর ভবিষ্যৎ কেমন?

যেকোনো জিনিস নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আমাদেরকে আগে জানতে হবে যে তার ভবিষ্যৎ কেমন। আজ থেকে ১০-২০ বছর পরেও কী প্রোগ্রামিং এর ভালো ডিমান্ড থাকবে?

উত্তরটি হচ্ছে হ্যাঁ, আজ থেকে 10 থেকে 20 বছর পরেও প্রোগ্রামিংয়ের এর থেকেও বেশি ডিমান্ড থাকবে। তার কারণ হচ্ছে বর্তমান যুক্ত হচ্ছে টেকনোলজির যুগ। দিন দিন টেকনোলজি অনেক উন্নত হচ্ছে। ইন্টারনেট ইউজারদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক মানুষ ইন্টারনেটের ওপর বেশি নির্ভর করছে। আর এর পিছনে যারা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে তারা হচ্ছে প্রোগ্রামার। প্রোগ্রামাররা নতুন নতুন টেকনোলজি আবিষ্কার করেছে, মানুষের জীবনকে আরও সহজতর করে দিচ্ছে। যেমন এখন আমরা অনলাইনে যে কোন পণ্য অর্ডার করতে পারি, অনলাইনে যেকোন জায়গায় রেজিস্ট্রেশন এর জন্য আবেদন করতে পারি। এই জিনিসগুলো সম্ভব হয়েছে প্রোগ্রামারদের জন্য।

তাই বুঝতেই পারছেন, টেকনোলজির উন্নতিতে প্রোগ্রামারদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এবং ভবিষ্যতেও আরো অনেক মানুষ ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হবে আর দিনদিন প্রোগ্রামারদের চাহিদাও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাই আপনি যদি চান প্রোগ্রামিং ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে তাহলে আপনি চোখ বন্ধ করে এদিকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। কারণ প্রোগ্রামিংয়ের রয়েছে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।

শেষ কথা

প্রোগ্রামিং কি, কেন প্রোগ্রামিং শেখা উচিত, কোথায় থেকে এবং কিভাবে প্রোগ্রামিং শিখবেন এবং প্রোগ্রামিং এর ভবিষ্যৎ কেমন  আশা করি এই জিনিসগুলো অনেক ভালোমতো বুঝতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলে প্রোগ্রামিং নিয়ে কিছু বেসিক আলোচনা এবং আপনাদের মনে থাকা কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই বিষয়ে আপনাদের আর কোন প্রশ্ন নেই। আর যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আপনি নিজে আমাকে কমেন্টে বলতে পারেন। আমি অবশ্যই রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব। আজকে এই পর্যন্তই। এতক্ষণ ধরে পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url