কিভাবে ভালোমতো রিসার্চ করতে হয়?

ভালোমতো রিসার্চ করতে পারার দক্ষতা আপনাকে বাকি দশটা মানুষের চেয়ে আলাদা করবে। এবং আপনি অনলাইন জগতে প্রতিটি পর্যায়ে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। যেকোন কিছু শিখতে গেলে আমাদের প্রয়োজন পড়ে রিসার্চ করার। যার রিসার্চ করার দক্ষতা যত ভাল সে ততো ভালোভাবে যেকোন টপিক শিখতে পারে।

কিভাবে ভালোমতো রিসার্চ করতে হয়

ধরুন আপনি চাচ্ছেন প্রোগ্রামিং শিখতে। কিন্তু আপনি জানেন না কোন ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে আপনার শুরু করা উচিত। অথবা বর্তমানে কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সে ক্ষেত্রে আপনি রিসার্চ করার মাধ্যমে জানতে পারেন যে বর্তমানে কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বেশি জনপ্রিয়। কোন ল্যাঙ্গুয়েজের জব পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এ ব্যাপারগুলো ভালো মতো জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে রিসার্চ করতে পারতে হবে।

আর তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব যে কিভাবে ভালোমতো রিসার্চ করতে হয়। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার পর আপনিও ভালোমতো রিসার্চ করতে পারবেন।

ভালোমত রিসার্চ করতে পারা কেন জরুরি?

ভালোমতো রিসার্চ করতে পারা এই জন্য জরুরী যে আপনি যে কোন বিষয় অন্যদের চেয়ে দ্রুত এবং সহজে শিখতে পারবেন। যে মানুষটা ভালোমতো রিসার্চ করতে পারে না তার কিন্তু একটা টপিক শিখতে বা জানতে অনেক বেশি প্যারা নিতে হয়। কোন কাজে আটকে গেলে সেই জিনিসটা রিসার্চ করার মাধ্যমে সমাধান করতে সে পারে না। 

আর এই জন্যই মূলত ভালোমতো রিসার্চ করতে পারাটা খুব বেশি জরুরী। এটি পারলে অনলাইনের এই দুনিয়ায় আপনি অনেক বেশি এগিয়ে থাকবেন। বর্তমানে সবকিছুই অনলাইন ভিত্তিক হতে শুরু করেছে। সেখানে অনলাইনে রিসার্চ করাটা এখন একটা বিশাল প্লাস পয়েন্ট। এটি আপনাকে যেকোন সেক্টরে কাজ করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

ভালোমত রিসার্চ করার পদ্ধতি

এ পর্যায়ে আমরা ভালোমতো রিসার্চ করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব। নিচে এমন কিছু পদ্ধতি দেওয়া হল।

১। সঠিকভাবে সার্চ করে গুগলে আর্টিকেল অনুসন্ধান করা

গুগলে সার্চ করার মাধ্যমে আপনি যেকোন বিষয়ে রিসার্চ করতে পারেন। এক্ষেত্রে গুগলে কিছু সার্চ অপারেটর ব্যবহার করলে আপনার রিসার্চ আরো ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন।

গুগল সার্চ অপারেটরগুলো আপনাকে সাহায্য করবে গুগলে সার্চ কে আরো বেশি অ্যাডভান্স করতে। ফলে আপনি যে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন সেটি আপনি খুব সহজেই গুগল সার্চ করার মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন।

তবে আপনাকে এই জিনিসটি অবশ্যই জানতে হবে যে আপনি কি দিয়ে গুগলে সার্চ করবেন। কিভাবে এবং কোন কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করলে আপনি সঠিক রেজাল্ট পাবেন এটি আপনাকেই শিখে নিতে হবে। রিসার্চ করতে করতে আপনার এই আইডিয়াটি এক সময় হয়ে যাবে।

২।  ইউটিউবে টপিক রিলেটেড ভিডিও দেখা 

ইউটিউব হলো একটি জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। এই প্লাটফর্মে আপনি যে কোন ভাষায় ভিডিও পেয়ে যাবেন। টপিক রিলেটেড কিওয়ার্ড দিয়ে ইউটিউবে সার্চ করার মাধ্যমে আপনি ভিডিও দেখে সেই বিষয় সম্পর্কে রিসার্চ করতে পারেন।

আর যতই দিন যাচ্ছে youtube এ ভিডিও কন্টেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আপনার কাঙ্ক্ষিত টপিক রিলেটেড ভিডিও আপনি খুব সহজেই ইউটিউব থেকে শিখে নিতে পারেন।

৩।  ফোরাম সাইট থেকে তথ্য জানা

ফোরাম সাইট বলতে মূলত প্রশ্নোত্তর সাইট কে বোঝানো হয়েছে। এই সাইটগুলোতে আপনি কোন প্রশ্ন করলে অন্যান্য ব্যবহারকারীরা সেই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে দিয়ে থাকে।

আপনি যদি কোন ফোরাম সাইটে যেয়ে আপনার টপিক রিলেটেড কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করেন। সেখানে সে বিষয়ে আগে কেউ প্রশ্ন করলে সে প্রশ্নের উত্তর থেকে আপনি অনেক কিছু জানতে পারেন।

অথবা ধরে নিলাম, আপনি যে বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ে আগে কেউ প্রশ্ন করেনি। সার্চ করে আপনি কোন রেজাল্ট পেলেন না। সেক্ষেত্রে সেই ফোরাম সাইটে আপনি একটি একাউন্ট করে প্রশ্ন করতে পারেন। এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা আপনার সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আপনাকে সাহায্য করবে। যেমন বাংলা ভাষায় একটি ফোরাম সাইট হচ্ছে bissoy.com। আবার ইংরেজিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফোরাম সাইট হচ্ছে quora.com। এই সাইটগুলো থেকে আপনি আপনার টপিক সম্পর্কে রিসার্চ করতে পারেন।

৪। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রিসার্চ 

সোশ্যাল মিডিয়া যে শুধুমাত্র বিনোদনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে বিষয়টা এমন না। রিসার্চ এর ক্ষেত্রেও সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন অনেক গ্রুপ থাকতে পারে যেখানে আপনার টপিক রিলেটেড অনেক কথাবার্তা হয়। আপনি চাইলে সেই গ্রুপগুলোতে জয়েন করে আপনি যে বিষয়টি জানতে চান সেটি জেনে নিতে পারেন।

অথবা আপনি সেই গ্রুপে পোস্ট করার মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট টপিক জানতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া বলতে সেটা হতে পারে ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি।

৫। রিসার্চের সময় নোট করা 

নোট করা খুবই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনি যখন কোন বিষয় নিয়ে রিসার্চ করবেন এবং এ বিষয় সম্পর্কে যেই তথ্যগুলো পাবেন একটা সময় পর সেগুলো আপনার মনে নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি নোট করে রাখেন তাহলে কয়েক বছর পরও যখন আপনি কিছু ভুলে যাবেন তখন নোট থেকে সেটি দেখে নিতে পারবেন।

নোট করার জন্য আপনি গুগল ডকস অথবা অনলাইনে যেকোনো নোটপ্যাড ব্যবহার করতে পারেন। আবার আপনি চাইলে খাতা-কলমও ব্যবহার করতে পারেন। আপনার যেভাবে ইচ্ছা আপনি সেভাবেই নোট করে রাখতে পারেন।

শেষ কথা

আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার পরে আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন কিভাবে ভালোমতো রিসার্চ করতে হয়। ভালোমতো রিচার্জ করার দক্ষতা আপনার একদিনে কখনোই হবে না। ধীরে ধীরে রিসার্চ করতে করতে আপনার ভালো রিসার্চ করার দক্ষতা চলে আসবে।

আর একবার আপনি ভালোমতো রিসার্চ করা শিখে গেলে এটি আপনার জীবনে অনেক কাজে আসবে। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাকে ভালোমতো রিসার্চ করা সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে পেরেছে। আপনাদের যদি কারো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। অথবা যোগাযোগ পেজের মাধ্যমে আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।


Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url