ব্লগিং করার জন্য সেরা ৭ টি ওয়ার্ডপ্রেস থিম ২০২৪
তাই আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদেরকে ব্লগিং এর জন্য সেরা ৭ টি ওয়ার্ডপ্রেস থিম এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। যেই থিমগুলো অনেক অপটিমাইজড, ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং এসইও ফ্রেন্ডলি।
১। Astra থিম
২। OcenWp থিম
ওয়েবসাইট ডেভলপার, ওয়েবসাইট ডিজাইনার, ই-কমার্স স্টোর মালিক, এবং যারা সৌখিন ব্লগিং করে তাদের জন্য প্রিয় একটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগার থিম হলো ওসেনডব্লিউপি। নতুনদের জন্য এটি অত্যন্ত ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং দ্রুত কাস্টমাইজড এর সুবিধা। সেই সাথে রয়েছে রেস্পন্সিভ ডিজাইন এবং কাস্টমাইজড।
ওসেনডব্লিউপি একটি বহুমুখী থিম। এটি প্রায় সবধরনের ব্লগেই ব্যবহার করা যায়। এটি অত্যান্ত ভার্সেটাইল কমপ্লিট এবং ফ্লেক্সিয়েবল থিম। এই থিমটি উক্ত ওয়েবসাইটের জন্য এর ব্যবহার আনলিমিটেড করে দিয়েছে। এই থিমটি একদম রেডি একটি থিম।
এসইও এর জন্য ওসেনডব্লিউপি একটি চমৎকার থিম। এই থিমটিতে রয়েছে রেডি আরটিএল (RTL) এবং ট্রানসলেশন। ওসেনডব্লিউপি অন্যান্য থিমের চেয়ে হালকা এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন।
এটি শুধুমাত্র ইউজার ফ্রেন্ডলি বা সহজ বোধগম্য তাই নয়, এতে কাস্টমাইজেশনের জন্য ডেভেলপার-বান্ধব কোডবেস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে আপনার যদি কোডিং জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি ইচ্ছা মতন এই থিমকে কাস্টমাইজ এবং মেনুপুলেট করতে পারবেন।
৩। GeneratePress থিম
জেনারেটপ্রেসও একটি জনপ্রিয় থিম। এ পর্যন্ত এর একটিভ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪,০০,০০০ প্লাস। এবং রেটিং ১,২০০ প্লাস। এই থিমটি অত্যন্ত হালকা, দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং এই থিমটির ব্যবহার অনেক সহজ হওয়ার কারণে এর জনপ্রিয়তা এত বেশি। জেনারেটপ্রেস থিমটি এতটাই হালকা যে এটি ৫০ কেবিরও নিচে। শুধু মাত্র 1 সেকেণ্ডে এই থিমটি লোডিং নিতে সক্ষম। যদি কোন ব্লগার কে প্রশ্ন করা হয় ব্লগিং করার জন্য কোন থিমটি সবচেয়ে ভালো। ৯৫% ব্লগাররাই বলবে জেনারেটপ্রেস ইজ দা বেস্ট।
ব্লগিং এর জন্য এই থিমটির ডিজাইন ও লে-আউট অত্যন্ত সহজ করে সাজানো রয়েছে। আপনি চাইলে এই থিমটিতে আপনার নিজস্ব ডিজাইন ও লে-আউট ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যে কোন ধরণের কাস্টমাইজেশন প্রয়োগ করুন না কেন, থিমটি চমৎকারভাবে কাজ করে। এটির রেস্পন্সিভনেস খুবই ভাল। এবং যেকোনো ধরনের ডিভাইস এবং স্ক্রিন রেজোলিউশনে সঠিকভাবে প্রদর্শন করে। এই থিমটি ফ্রী এবং পেইড দুই ভার্সনেই পাওয়া যায়।
৪। Hello Elementor থিম
অন্যান্য থিমের তুলনায় এই থিমটি ও অনেক হালকা। এই থিমটি ব্যবহার করার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে নিজের পছন্দমত একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট তৈরি করা। আপনি চাইলেই যেকোনোভাবে আপনার ওয়েবসাইটটি কে সাজাতে পারেন।
যখন আপনি হ্যালো থিমটি কে একটিভ করবেন, তখন এটি একদম ব্ল্যাঙ্ক থাকবে। পরবর্তীতে এলিমেন্টর এর সাহায্য নিয়ে আপনাকে এই থিমটির এর ডিজাইন, ব্যাকগ্রাউন্ড কালার,হেডার এবং ফুটার সহ সব ধরনের কাজ নিজেকেই করতে হবে।
৫। MoneyFlow থিম
মানিফ্লো থিমটিতে রয়েছে আধুনিক মানের প্রফেশনাল লুকিং। এটি আপনার ট্রাফিক কে বিশেষভাবে ইমপ্রেস করবে। সেই সাথে আপনার কনটেন্ট যদি অনেক ভালমানের হয়ে থাকে তাহলে আপনি দিন দিন আপনার ব্লগিং সাইট টিতে অনেক ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন এবং গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারেন।
এই থিমটি এসইও ফ্রেন্ডলি হওয়ার কারণে খুব সহজে আপনার ব্লগিং সাইট টিকে রেঙ্ক করতে সাহায্য করবে।
সুবিধা
১. এই থিমটি ব্যবহার করার জন্য আপনার বেশি কোডিং জানার প্রয়োজন নেই
২. এসইও অপটিমাইজ রেডি
৩. অত্যন্ত হালকা একটি থিম
৪. দ্রুত লোড নিতে সক্ষম
৫. এবং কাস্টমার সাপোর্ট
অসুবিধা
নতুন অবস্থায় আপনার যদি ওয়ার্ডপ্রেস থিম সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে আপনাকে কিছুটা সমস্যার ফেইস হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
৬। Neve থিম
Neve থিম হল প্রায় যেকোনো ওয়েবসাইট তৈরির জন্য একটি লাইটওয়েট স্টার্টার থিম। আপনার নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী এই থিমটি কাস্টমাইজ করা অত্যন্ত সহজ।
উপরন্তু, এই থিমটি প্রায় সব ধরনের পেইজ বিল্ডারের সাথে ভালো কাজ করে। অর্থাৎ আপনার কোন কোডিং জ্ঞান না থাকলেও নিখুঁত ওয়েবসাইট তৈরিতে কোন প্রকার সমস্যা হবে না।
কাস্টোমাইজেশনের ক্ষেত্রে নেভ থিমটিতে হেডার এবং ফুটার কাস্টমাইজ করার স্বাধীনতা দিয়েছে। ওয়েবসাইট লেআউট পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে। গুটেনবার্গ, এলিমেন্টর, বিভার বিল্ডার, ব্রিজি, ডিভি বিল্ডার ইত্যাদি পেইজ বিল্ডার সাথে চমৎকার ভাবে কাজ করা যায়।
এখানে ৮০+ বিল্টিন ডেমো রয়েছে। নেভ স্টার্টার সাইট লাইব্রেরিতে প্রতি মাসে নতুন ডিজাইন যোগ করা হয়। এএমপি (AMP) বা অ্যাক্সিলারেটেড মোবাইল পেজ সাপোর্টেড। যাতে করে মোবাইল ব্যবহারকারীদের দ্রুততর ওয়েব অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
৭। Kadence থিম
ব্লগারদের কাছে, ক্যাডেন্স থিমটি তার পরিষ্কার ব্লগ স্টাইলিংয়ের কারণে বেশ কদরনিয়, ইমেজ প্লেসমেন্ট এবং স্টিকি সাইডবার অপশন গুলো বেশ আকর্ষণীয়। উপরন্তু, কোর ব্লক এডিটরের সাথে ক্যাডেন্স এর একটি গভীর ইন্টিগ্রেশন রয়েছে।
ক্যাডেন্স থিমটি হল একটি লাইটওয়েট এবং সম্পূর্ণ বৈশিষ্ট্যযুক্ত (Full Featured) ওয়ার্ডপ্রেস থিম। যার মাধ্যমে ফাস্ট-লোডিং এবং দ্রুত অ্যাক্সেসযোগ্য ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এটি ব্যবহার করা সহজ এবং ড্র্যাগ-এন্ড-ড্রপ এর মাধ্যমে হেডার এবং ফুটার ডিজাইন করা যায়।
যেহেতু ক্যাডেন্স ফ্রি এবং পেইড উভয় সংস্করণেই পাওয়া যায়, তাই আপনি সম্ভবত ফ্রি ভার্সনটিতে খুব সীমিত আশা করবেন, কিন্তু মোটেও তা নয়। ফ্রি থিমটি বেশ সক্ষম এবং অনেক ব্যবহারকারীর চাহিদা পূরণ করে সন্তুষ্ট করেছে।
এখানে ছয়টি ভিন্ন বিভাগে সেটিংস রয়েছে। Global Colors, Branding, Typography, Header Layout, Page Layout, Footer Layout। এছাড়াও এডিশনাল কাস্টমাইজেশন অপশন রয়েছে। এখান থেকে আপনি স্ট্যান্ডার্ড ব্লগ পোস্ট লেআউট কাস্টমাইজ করতে পারেন, অনেকটা Page Layout অপশনের মত।
এছাড়াও এই থিমের একটি বিশেষ প্লাগিন আছে যার নাম Kadence Blocks Plugin। এটিও ফ্রী এবং পেইড ভার্সন আছে। ব্লগারদের এই থিমের অন্যতম আকর্ষণীয় এই প্লাগিনটি।
Row layout, Tabs, Table of contents, Advanced button, Advanced heading, Advanced gallery, Icon, Icon list, Info box, Accordion, Testimonials, Form এই সমস্ত ইলিমেন্ট গুলো এই প্লাগিন দ্বারা পরিপূর্ণভাবে কাস্টমাইজ করা যায়।
ফ্রী থিম গুলোর মধ্যে Kadence অনেক বেশী সুবিধা দিয়েছে। যা অনেক প্রিমিয়াম থিম এও এরকম সুবিধা পাওয়া যায় না।
শেষ কথা
আপনি যদি নতুন ব্লগার ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আমার প্রথম পরামর্শ হচ্ছে প্রথমে আপনি উপরিউক্ত যেকোনো একটি থিম ফ্রিতে ব্যবহার করবেন। কয়েক মাস যাওয়ার পর যখন আপনার ব্লগিং সাইটটি একটি নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে পৌঁছাবে এবং আপনার সাইটটিতে ট্রাফিক আসা শুরু করবে তখন আপনি সেই থিমটির পেইড ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন।