লিড জেনারেশন কি? লিডস জেনারেশন বিজনেস কিভাবে করে?

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ডাটা এন্ট্রি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এই দুই ক্ষেত্রেই লিড জেনারেশন খুবই জনপ্রিয় শব্দ। তবে এই লিড জেনারেশন যে শুধুমাত্র ডাটা এন্ট্রি এবং ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য দরকার হয় তাই নয়। লিড কালেক্ট করা যে কোন ব্যবসার বিক্রয়ের  জন্য প্রধান টার্গেট।


যারা অনলাইনে কাজ করেন ব্যক্তি বা কোম্পানি সবার জন্যেই লিড জেনারেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যেকোনো পণ্য বা সেবা বিক্রির জন্য এই লিডস জেনারেশন এর দরকার হয়। তাই বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলটি অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।  বিশেষ করে যারা অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং বা ব্যবসা করছেন।

লিড জেনারেশন কি এবং লিডস জেনারেশন কিভাবে  করতে হয়। তা জানতে হলে আমাদেরকে আগে লিড কি এ বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।

লিড কি?


লিড হলো এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোন পণ্য বা সেবা নিতে আগ্রহী। একটি সেলস লীড হল এমন একজন ব্যক্তি বা কোম্পানি যা আপনার আদর্শ গ্রাহক হওয়ার ক্রাইটেরিয়ার সাথে মানানসই বা আপনার ব্যবসার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

মনে করুন, একজন ব্যক্তি তার ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং করাতে চাচ্ছে। এখন এই ব্যক্তি ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য একটি লিড।
 
অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটাররা তাদের সার্ভিস এই ব্যক্তির কাছে সেল করার সম্ভাবনা আছে।

লিড এর প্রকারভেদ


বিজনেস মার্কেটিং স্ট্রাটেজি বিশেষজ্ঞরা লিডকে সাতটি ভাগে ভাগ করেছে। এগুলো হলোঃ
1) হট লিড ( Hot Lead )
2) কোল্ড লিড ( Cold Lead )
3) ওয়ার্ম  লিড ( Warm Lead )
4) ইনফর্মেশন কোয়ালিফাইড লিড ( Information Qualified Lead (IQL) )
5) সেলস রেডি লিড ( Sales Ready Lead (SRL) )
6)  মার্কেটিং কোয়ালিফাইড লিডস ( Marketing Qualified Leads (MQL) )
7) সেলস কোয়ালিফাইড লিডস ( Sales Qualified Leads (SQL) )

লিড জেনারেশন কি?


লিড জেনারেশন হচ্ছে এমন একটি প্রসেস যার মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতার তথ্য সংগ্রহ করা। ক্রেতার তথ্য বলতে বুঝায়, ক্রেতার  পণ্যের উপর আগ্রহ,  ইমেইল এড্রেস,  ফোন নাম্বার,  ঠিকানা, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি।

উদাহরণস্বরূপ ধরে নেই, ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি। এখন এই কোম্পানির সম্ভাব্য ক্রেতা কারা হতে পারে? সহজ উত্তর যারা অনলাইন বেইজড ব্যবসা করে।

তাহলে অনলাইন ব্যবসা যারা করে তাদের মালিক বা ম্যানেজারদের কাছে যদি ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি তাদের সেবার প্রচার-প্রচারণা করে, তাহলে তাদের সেবা বিক্রি হবে।

এখন এই মালিক বা ম্যানেজারদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাদের ইমেইল এড্রেস, ফোন নাম্বার, ঠিকানা এগুলোর প্রয়োজন হবে। আর এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করাই হল লিড জেনারেশন।

লিড জেনারেশন কতো ধরনের বা কত প্রকারের?
লিড জেনারেশন কে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

বি২বি লিড জেনারেশন ( B2B Lead  Geneation )
বি২সি লিড জেনারেশন ( B2C Lead  Geneation )

বি২বি লিড জেনারেশন ( B2B Lead  Geneation )


বি২বি লিড জেনারেশন হচ্ছে বিজনেস টু বিজনেস লিড জেনারেশন। অর্থাৎ এক কোম্পানির কাস্টমার আরেকটি কোম্পানি। এখানে দু'পক্ষই ব্যবসায়ী।

একজন উৎপাদকের কাস্টমার হতে পারে পাইকারি, খুচরা, ডিলার ব্যবসায়ী। সহজ কথায় এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির মালিক বা ব্যবসায়ীদের তথ্য খুঁজে বের করতে হবে।

বি২সি লিড জেনারেশন ( B2C Lead  Geneation )


বি২সি লিডস জেনারেশন হচ্ছে বিজনেস টু কাস্টমার। অর্থাৎ কোম্পানি থেকে সরাসরি ভোক্তা । এক্ষেত্রে এক  পক্ষ ব্যবসায়ী এবং আরেক পক্ষ সরাসরি ভোক্তা।

ই-কমার্স সাইটগুলো এক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট উদাহরণ। কারণ ই-কমার্স সাইটগুলো থেকে ভোক্তা সরাসরি পণ্য ক্রয় করে থাকে। তাই সরাসরি ভোক্তার তথ্য এই সমস্ত কোম্পানির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।  এতে করে তারা সরাসরি ভোক্তার কাছে বিজ্ঞাপন প্রচার প্রচারণা করতে পারে।

তাই এখানে আপনাকে সরাসরি ভোক্তার তথ্য খুঁজে বের করতে হবে।

লিড জেনারেশন কিভাবে করে?


লিড জেনারেশন কিভাবে করতে হয় এর কোনো নির্দিষ্ট পন্থা নেই। তবে বেশ কিছু উপায় আছে যেগুলোর মাধ্যমে লিড জেনারেশন করা হয়।

বি২বি লিড জেনারেশন কিভাবে করতে হয়


বি২বি লিড জেনারেশন করা তুলনামূলক সহজ।এক্ষেত্রে বিভিন্ন বিজনেস কোম্পানির মালিকদের বা কোম্পানির বিভিন্ন পদবীর লোকদের তথ্য খুঁজে বের করতে হয়।

এই কাজটি করার জন্য আপনাকে ঐ সমস্ত কোম্পানির ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে।  ওয়েবসাইটে গেলে দেখতে পাবেন অ্যাবাউট আস (About Us) অথবা  কন্টাক্ট আস (Contact Us) নামে সেকশন আছে। এই সেকশনগুলোতে সাধারণত কোম্পানির মালিকদের তথ্য, বা তাদের সাথে যোগাযোগ করার তথ্য দেয়া থাকে।

যদি ওয়েবসাইটে আপনার নির্দিষ্ট তথ্য না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অ্যাডভান্স গুগল সার্চ ইঞ্জিন, ইয়াহু, বিং, ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিন এর সাহায্য নিতে হবে।

তাছাড়া ওই সাইটে যে সোশ্যাল লিংক দেয়া আছে সেগুলোতেও আপনাকে খুঁজতে হবে। এক্ষেত্রে লিঙ্কড ইন সবচেয়ে বিশ্বস্ত সূত্র।


বি২সি লিড জেনারেশন  কিভাবে করতে হয়


বি২সি লিড জেনারেশন করার প্রসেসটা একটু জটিল। এ কাজটি করতে আপনার ওয়েবসাইট থাকা জরুরি। এই ধরনের লিড গুলো কালেক্ট করতে গুগোল অ্যাড, ফেসবুক অ্যাড, ফরম ফিলাপ করানো, সার্ভে ক্যাম্পেইন করা, বিভিন্ন রকমের অফার দেয়া ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে বি২সি লিড জেনারেট করতে হয়। এই কাজটি অনেক সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। তাছাড়া এই কাজটি করতে পেইড টুলস ব্যবহার করতে হয়।

আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে আরেকটু ক্লিয়ার করার জন্য আমি বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি।

আমরা অনেক সময় দেখি আমাদের মোবাইলে বিভিন্ন কোম্পানির মেসেজ আসে। তাছাড়া আমাদের ইমেইল এ প্রচুর জায়গা থেকে ইমেইল আসে। অথবা আপনি যখন ফেসবুক বা গুগোল এ ঘোরাঘুরি করছেন তখন আপনার সামনে এমন কিছু এড আসে যা আপনার কাজের সাথে বা ইচ্ছার সাথে রিলেটেড।

তাহলে এবার একটু চিন্তা করে দেখুন আপনার ইচ্ছা বা কাজ সম্বন্ধে তারা কিভাবে জানলো। যার কারনে আপনার কাজের সাথে বা ইচ্ছা সাথে রিলেটেড বিজ্ঞাপনগুলো আপনার সামনে আসছে।

একটু লক্ষ করলেই এ বিষয়টি বুঝতে পারবেন।  আমরা হয়তো কখনও কোনো না কোনোভাবে কোন সাইটে বা কোন মেলাতে ফরম পূরণ করেছি। অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে কিংবা কোন ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেছি। অথবা কোন ওয়েবসাইটের CTA( Call To Action ) সম্পন্ন করেছি.

আর এতে করেই আমার আপনার ইনফরমেশনগুলো সে সমস্ত ওয়েবসাইট নিয়ে নিয়েছে। এই সমস্ত ইনফরমেশন গুলো তারা বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করে থাকে।

অর্থাৎ বি২সি লিড জেনারেশন কাজটি করতে আপনার ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া  ইত্যাদি থাকতে হবে। এবং এগুলোতে বিভিন্নভাবে ফরম পূরণ করিয়ে এবং এড প্রদর্শন করে এই বি২সি লিড গুলো কালেক্ট করতে হবে।

 

লিড জেনারেশন বিজনেস কিভাবে করে?


লিড জেনারেশন বিজনেস করতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট করতে হবে। এই ওয়েবসাইটটিতে আপনার বিজনেস ডিটেলস থাকবে। এবং আপনি ক্লায়েন্টদের জন্য এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করবেন।

যেহেতু আপনি লিড জেনারেশনকে বিজনেস হিসেবে নিতে চাচ্ছেন,  তাই আপনাকে বেশ কয়েকটি নিশ সিলেক্ট করতে হবে। এবং ঐ নিশ গুলোর উপর আপনাকে প্রত্যেকটির জন্য আলাদা করে ওয়েবসাইট করতে হবে।

তাছাড়া আপনাকে বেশ কয়েকটি পেইড টুলস  কিনতে হবে।  কারণ ফ্রী টুলস দিয়ে প্রফেশনালি কাজ করা যায় না। ফ্রী টুলসগুলোর প্রচুর লিমিটেশন আছে।

লিড জেনারেশন বিজনেসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল একবার নিশ সাইট গুলো স্ট্যাবলিশ হয়ে গেলে আর চিন্তা করতে হয় না। বিশেষ করে বি২সি লিড জেনারেশন কাজ গুলোর মার্কেট ডিমান্ড অনেক বেশী।

লিড জেনারেশন এর কাজ আজীবন ডিমান্ড থাকবে। কারণ মার্কেটিং এন্ড সেলস যতদিন থাকবে এর ডিমান্ড ততদিন থাকবে। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

লিড জেনারেশন করতে কি কি দরকার?


এ কাজটি করার জন্য আপনাকে ইন্টারনেট সার্চ সম্বন্ধে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। কোন ইনফরমেশনের জন্য কোন সাইটে খোঁজ করতে হবে এই বিষয়গুলো খুব ভালো করে জানা থাকতে হবে।

আপনাকে কিছু সফটওয়্যার এবং টুলসের ব্যবহার জানতে হবে। লিড জেনারেশন কাজের জন্য অনেক রকমের টুলস ব্যবহার করতে হয়। তাছাড়া কিছু পেইড টুলস আপনার প্রয়োজন পড়বে। এর মধ্যে অন্যতম হলো লিঙ্কডইন সেলস নেভিগেটর।

বন্ধুরা আপনাদের কথা চিন্তা করে আমি দুই রকম লিড জেনারেশন এ কি ধরনের টুলস দরকার হতে পারে তার একটি লিস্ট নিচে দিয়ে দিলাম।

বি২বি লিড জেনারেশন বিজনেস ডিরেক্টরি সার্চ ইঞ্জিন লিস্ট


এছাড়া বিভিন্ন বিজনেস ডিরেক্টরি সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলোতে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে এবং এলাকা, দেশভিত্তিক ব্যবসাগুলো ভাগ করা থাকে। নিচে কিছু বিজনেস ডিরেক্টরি সার্চ ইঞ্জিন লিস্ট দেয়া হয়েছে।

Yellowpages.com
yelp.com
Bbb.org
Local.yahoo.com
Yellowbot.com
yasabe.com
Angi.com
manta.com
Justlanded.com
airbnb.com
merchantcircle.com
Superpages.com
Dandb.com
Us.kompass.com
Local.com
Infobel.com
Zoominfo.com

বি২বি লিড জেনারেশন করার কিছু সাপোর্ট টুলস


Findthatlead.com
লিঙ্কড ইন সেলস নেভিগেটর ( Linkedin Sales Navigator )
D7leadfinder.com
Email finder - Getprospect.com
Discoverly.com
Peoplefinder.ai
Skrapp.io
Hunter.io
Reply.io
ZoomInfo.
Emailable.
Snovio.
NeverBounce.
Bouncer.
ZeroBounce.
Interseller.
BriteVerify.

বি২সি লিড জেনারেশন করার কিছু সাপোর্ট টুলস

Sumo
HubSpot
Flowlu
Hellobar
Leadfeeder
Picreel
Pipedrive

লিড জেনারেশন কিভাবে শিখব?

যেহেতু আপনি অনলাইন বেইজড ক্যারিয়ার করতে চাচ্ছেন, তাহলে আপনার শেখাটাও অনলাইন বেইজড শুরু হওয়া উচিত। বর্তমান আধুনিক ডিজিটাল যুগে অনলাইনে প্রচুর রিসোর্স রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে লিড জেনারেশন শিখে ফেলতে পারবেন অনলাইনেই। গুগোল এবং ইউটিউব এ প্রচুর রিসোর্স রয়েছে লিড জেনারেশন টিউটোরিয়াল এর উপর।

প্রথম ধাপে, আপনি ইউটিউব ভিডিও দেখে লিড জেনারেশন শিখা শুরু করে দিন। ভিডিও দেখার সময় খেয়াল রাখবেন কি বলা হচ্ছে। এখানে প্রতিটি কথার ভিতরে আপনার শেখার অনেক কিওয়ার্ড বা কিছু পয়েন্ট থাকবে। ওই কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে আবার সার্চ করবেন। এভাবে আপনি যত বেশি সার্চ করবেন ততই আপনার শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা দুটোই বাড়তে থাকবে।

অবশ্যই যা দেখেছেন, তা সাথে সাথে প্র্যাকটিস করবেন। বন্ধুরা প্র্যাকটিস এর কোন বিকল্প নেই প্র্যাকটিস আপনাকে করতেই হবে।  

“ যত বেশি প্র্যাকটিস করবেন, ততই আপনি সমস্যায় পড়বেন, এবং যত সমস্যায় পড়বেন, ততবেশি শিখবেন, এবং ততো বেশি অভিজ্ঞ ও দক্ষ হবেন। ”

দ্বিতীয় ধাপে, লিড জেনারেশন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে।  এই গ্রুপ গুলোতে জয়েন করে নিবেন। এবং আপনার প্রশ্নগুলো সেখানে প্রকাশ করবেন। গ্রুপ গুলোতে বন্ধুত্ব বাড়াবেন।  সাথে সাথে আপনি যা শিখেছেন তা শেয়ার করবেন।

তাছাড়া আপনি বেস্ট ফ্রীলান্সিং ওয়েবসাইট গুলতে গিয়ে সেখানে লিড জেনারেশন এর কাজের নমুনা গুলো দেখতে পারেন। এতে করে আপনার লিড জেনারেশন কাজে আর কি গ্যাপ আছে সেগুলো জানতে পারবেন।

তৃতীয় ধাপে, আপনি যদি মনে করেন আপনার একজন মেন্টর দরকার। তাহলে এখন আপনি লিড জেনারেশন কোর্সে জয়েন করতে পারেন। তবে কখনও উপরের দুইটি ধাপ কমপ্লিট না করে কোর্স করতে যাবেন না। তাহলে আপনার কোর্স করে কোন লাভ হবে না।

কারণ উপরের দুইটি ধাপ কমপ্লিট করার কারনে আপনি অনেক কিছু জেনে গিয়েছেন এবং মোটামুটি অভিজ্ঞতা আপনার হয়ে গিয়েছে।  এখন যদি আপনি কোর্স করেন তাহলে, আপনি মেন্টরের কাছে প্রচুর প্রশ্ন করতে পারবেন।  

প্রশ্ন করার যোগ্যতাও কিন্তু একটি বড় ব্যাপার। কারণ সেই-ই প্রশ্ন করতে পারে যার কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা আছে। আপনি যদি একেবারেই নতুন হন, তাহলে আপনার তেমন কোনো প্রশ্ন থাকবে না। আর আপনি তেমন কিছু মেন্টরের কাছ থেকে আদায় ও করে নিতে পারবেন না।

পরামর্শ
নতুন অবস্থায় বিটুসি লিড জেনারেশন (B2C Lead generation) শিখতে যাবেন না। প্রথমদিকে বিটুবি লিড জেনারেশন (B2B Lead Generation) এর দিকে বেশি নজর দিন।


লিড জেনারেশন শিখলে কি লাভ?


এই কাজটি আমার মতে, যারা অনলাইন ফ্রীলান্সিং বা অনলাইন ব্যবসা করছেন, তাদের সবারই শেখা উচিত। এতে করে আপনি আপনার নিজের ব্যবসার জন্য ক্লায়েন্ট আপনি নিজেই খুঁজে নিতে পারবেন।

হতে পারে আপনি অনলাইন ফ্রীলান্সিং করছেন গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে অথবা সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট নিয়ে। যাই নিয়ে আপনি কাজ করুন না কেন, একবার যদি লীড জেনারেশন শিখে ফেলতে পারেন। কাজ পাওয়া নিয়ে আপনাকে আর ভাবতে হবে না।

লিড জেনারেশন কাজ  এর একটি বড় সুবিধা হচ্ছে,  একই  লিড  অনেক জনের কাছে বিক্রি করা যায়। অর্থাৎ আপনি একবার লিড বের করে রেখেছেন তো এটা আপনার একটি প্রোডাক্ট হিসেবে স্টক হয়ে গিয়েছে। এখন এই প্রোডাক্ট আপনি চাইলে অনেক জনের কাছে বিক্রি করতে পারেন।

অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করছেন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অনেক কারণে মার্কেটপ্লেসের অ্যাকাউন্টগুলো ব্লক হয়ে যায়। অথবা অর্ডার আসা বন্ধ হয়ে যায়। তাই আমি অনলাইন ফ্রীলান্সিং জগতে কিভাবে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায় তার একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন দিয়েছি।

সেখানে আমি মার্কেটপ্লেস নির্ভরতা কাটিয়ে উঠার পরামর্শ দিয়েছি। আর এখানেই লিড জেনারেশন কাজ আপনাকে বৃহত্তর লাভবান করবে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে লিড জেনারেশন

ফ্রিল্যান্সিং এ লিড  জেনারেশন এর কাজ প্রচুর। মার্কেটপ্লেসগুলোতে ভিজিট করলেই এর প্রমাণ পেয়ে যাবেন। যদিও এ কাজটি ডিজিটাল মার্কেটিং এরই একটি অংশ। কিন্তু দেখা যায় ডাটা এন্ট্রি  ক্যাটাগরিতে ও এই কাজগুলো দেয়া হচ্ছে।

এক্সট্রা ইনকাম হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং এ লিড জেনারেশন করে আয় করছে অনেক ফ্রিল্যান্সাররা।

লিড জেনারেশন কাজ কোথায় পাওয়া যায়?


লিড জেনারেশন কাজ কোথায় পাওয়া যায়? এই প্রশ্নটির সাথে আরেকটি প্রশ্ন চলে আসে সেটি হচ্ছে লিড জেনারেশন এর কাজ কারা দেয় বা করায়?

সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটার বা ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি গুলো এই কাজগুলো করিয়ে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির  সেলস ম্যানেজার, মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট, এডমিন অথবা; ছোট কোম্পানির ক্ষেত্রে সরাসরি মালিক কিংবা ম্যানেজাররা এই কাজগুলো ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করায়।

তাই এ সমস্ত ব্যক্তিদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে লিড জেনারেশন এর কাজ পাওয়া যেতে পারে।

এছাড়াও অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে এই কাজগুলো বেশি পাওয়া যায়। এ কাজগুলো পাওয়ার জন্য বেস্ট ফ্রীলান্সিং ওয়েবসাইট গুলো দেখতে পারেন।

আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে ও এ কাজগুলো পাওয়া যায়। ফেইসবুক (facebook.com) এবং বিশেষ করে লিংকড ইন (linkedin.com) এ বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে। এ সমস্ত গ্রুপগুলোকে জয়েন করে চোখ রাখুন।  এবং নিয়মিত লিড জেনারেশন কাজের প্রচার করুন।

লিড জেনারেশন করে কত আয় করা যায়?


সাধারণত লিড জেনারেশন এ প্রতিটি লিড এর উপর ভিত্তি করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এই কাজগুলো বেশিরভাগ সময় প্যাকেজ আকারে করা হয়। দেখা যায় কিছু কিছু লিড প্রতি ০.১০ ডলার থেকে ১.০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

আসলে এ মূল্যটি নির্ধারণ হয় লিড এর ধরন অনুযায়ী। যেমন কোল্ড লিড গুলোর এক ধরনের মূল্য হয়ে থাকে। আবার  হট লিড গুলোর আরেক ধরনের মূল্য হয়ে থাকে।

মোটামুটি ভাবে লিড  জেনারেশন করে প্রতিমাসে ২০০ থেকে ১০০০ এর ও বেশি ডলার ইনকাম করা যায়।

শেষ কথা


বন্ধুরা আশাকরি আপনারা লিড জেনারেশনের উপর ভালো একটি ধারণা পেয়েছেন। লিড কি, এবং লিড জেনারেশন কি, কিভাবে  লিড জেনারেশন বিজনেস করতে হয়,  ইত্যাদি বিষয় আপনাদের কাছে পরিষ্কার ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url